বাংলা কালচার ডট কম: বাংলা একাডেমীর ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কর্মধারা বর্তমান প্রজন্মের কর্মকর্তাদের কাছে তুলে ধরার ল্েয বাংলা একাডেমী একটি ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে ২৮শে আষাঢ় ১৪১৬/১২ই জুলাই ২০০৯ রবিবার বিকেল ৪:০০টায় একাডেমীর সেমিনার কে ‘আমাদের সময়ে বাংলা একাডেমী’ শীর্ষক বক্তৃতা প্রদান করেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক, বাংলা একাডেমীর ফেলো ও সাবেক পরিচালক বশীর আল্হেলাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
বাংলা একাডেমীতে কর্মজীবনের স্মৃতিচারণ করে বশীর আল্হেলাল বলেন, ‘আমি ১৯৬৯ সালে বাংলা একাডেমীতে যোগদান করি। এ সময়টা ছিল বাংলা একাডেমীর স্বর্ণসময়। দেশের গুণী, লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের পদচারণায় একাডেমী মুখর থাকতো। ফ্রেঞ্চ একাডেমীর আদলে এর কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতির লালনত্রে হিসেবে এর পরিচিতি লাভ করবে, বিশেষ করে বাংলা ভাষার উন্নয়নের জন্য কাজ করবে। চাকরিতে যোগদানের কিছু সময় পর থেকেই অনুবাদ বিভাগের দায়িত্ব আমার উপর পড়ে। বিশ্বের ধ্রƒপদী সাহিত্যের অনুবাদ বাংলা ভাষায় প্রকাশ করার জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করি।’ তিনি বলেন, ‘বাংলা একাডেমীতে যারা কাজ করেন তাদের একটা নিজস্ব স্বকীয়তা থাকবে। একজন চাকরিজীবী হিসেবে নয়, সবসময় জ্ঞানের অন্বেষণে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে একজন সৃষ্টিশীল মানুষ হিসেবেও নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। এতে আত্মবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অর্জনেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাহলে একসময় বাংলা একাডেমী একটি সৃষ্টিশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিগণিত হবে। ’
শামসুজ্জামান খান বাংলা একাডেমীর নতুন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বাংলা একাডেমী অন্যসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো নয় এবং এখানে কাজ করা কেবল চাকরি নয়, দেশের প্রতি ভালোবাসা মিশ্রিত অঙ্গীকারদীপ্ত এক ধরণের জাতীয় কর্তব্য সম্পাদন করা। এই দৃষ্টিভঙ্গীকে সামনে রেখে একাডেমীর প্রতিটি কর্মী নিজেদেরকে গড়ে তুলবেন। কারণ আমরা সকলেই বাংলা ভাষাকে ভালোবাসি, বাংলাদেশকে ভালোবাসি এবং বাংলা একাডেমীকে ভালোবাসি। ’