চারদিকের বাতাসে কুয়াশার ছড়াছড়ি আর কৃষকের গোলা ভরে উঠেছে পাকা ধানে। চিরায়ত বাংলার অগ্রহায়ণের চির চিনা রুপ এটি। সোনালী ধানের প্রচুর্য আর বাঙালি সংস্কৃতির বিশেষ অংশ ‘নবান্ন উৎসব’। প্রতি বছরের মত নানা সংস্কৃতিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব। আজ চারুকলার বকুলতলায় বসেছিল ‘নবান্ন উৎসব’। বাংলা সংস্কৃতি এবং কৃষকের আন্ত মিল এখানে প্রকাশিত হয়েছে নাচ, গান, কবিতা এবং নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। সকাল থেকেই অনুষ্ঠানের আনন্দ উপভোগ করতে শিশু সহ অসংখ্য দর্শনাথীরা জড়ো হয়। তারা দিন ভর নানা আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে থাকে। অগ্রহায়ণ মাসে কৃষকের ঘর ভরে যায় পাকা ধানে, মুখ ভরে উঠে খুশিতে। তাই নতুন ধানের তৈরী বিভিন্ন বাঙ্গালি খাবার নবান্ন উৎসবের প্রধান আকর্ষন। অনুষ্ঠানে আগত দর্শকরা বলেন যে, বাংলার মানুষ শত শত বছর ধরে বৈচিত্র পূর্ণ সংস্কৃতির অংশিদার। নবান্ন উৎসব তারি বহি প্রকাশ। অনংষ্ঠানের আয়োজনকারীদের মতে গ্রাম বাঙলায় এই উৎসব সচরাচর পালিত হলেও শহরঞ্চলে এর প্রভাব কম। তাই পরবর্তী প্রজন্ম যাতে এই উৎসবের ভাগীদার হতে পারে তার জন্য তারা আগ্রহ নিয়ে নবান্ন উৎসব আয়োজন করে থাকেন।