বাংলা একাডেমী শতবর্ষী কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদকে সম্মাননা প্রদান উপলে ১৪ ও ১৫ই অক্টোবর দুইদিনব্যাপী রংপুর টাউন হল চত্বরে বইমেলার আয়োজন করেছে। ২৯শে আশ্বিন ১৪১৬/১৪ই অক্টোবর ২০০৯ বুধবার সকাল ১১:০০টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মু. আব্দুল জলিল মিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বইমেলা উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের জেলা প্রশাসক বি. এম. এনামুল হক। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমীর পাঠ্যপুস্তক বিভাগের পরিচালক ড. আবদুল ওয়াহাব। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমীর প্রাতিষ্ঠানিক, পরিকল্পনা ও প্রশিণ বিভাগের পরিচালক শাহিদা খাতুন।
বিকেল ৪:০০টায় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতিউর রহমান বস্নীয়া, রোমেনা চৌধুরী, অধ্যাপক মুহম্মদ আলীম উদ্দীন, মহফিল হক, কাজী মোঃ জুন্নুন, এম. এ. বাশার, দিলরুবা শাহাদৎ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমীর সমন্বয় ও জনসংযোগ উপবিভাগের উপপরিচালক মুর্শিদ আনোয়ার। সম্মাননার তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জমান খান। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ রেজাউল হক। এ সময় কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদের হাতে নগদ ১০,০০০/- টাকা এবং বাংলা একাডেমীর মনোগ্রাম সম্বলিত ক্রেস্ট তুলে দেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ আমাদের রংপুরের গর্ব। তিনি সবসময় নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা দিয়ে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে চলেছেন। তাঁর কবিতায় সত্যনিষ্ঠা ও মানবতাবোধের পরিচয় পাওয়া যায়। বক্তারা আরও বলেন, বাংলা একাডেমী প্রকাশিত বই মফস্বল শহরে সহজলভ্য নয়। এ ব্যাপারে তাঁরা বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক বলেন শামসুজ্জামান খান বলেন, শতবর্ষী কবি নূরুল ইসলাম কাব্যবিনোদ একজন বরেণ্য কবি। বাংলা একাডেমী তাঁকে সম্মান জানাতে পেরে নিজেদের গৌরবান্বিত মনে করছে। এই বরেণ্য কবি মানুষচিত্তের সমৃদ্ধির জন্য মানুষের মনে আলোকজ্জ্বল প্রণোদনা সৃষ্টি করার েেত্র যা করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়। জীবনের সকল দুঃখ-কষ্ট-বেদনা ভুলে গিয়ে মানুষই যে বড়ো এবং মানুষের সৃষ্টি যে মহৎ তা এই বর্ষীয়ান কবি সারাজীবন হৃদয়ে ধারণ করেছেন। সেজন্য তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত হতে হয়। বাংলা একাডেমী ভবিষ্যতে দেশের বরেণ্য কবিদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিরন্তর প্রয়াস চালাবে এবং এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে ছান্দসিক সাহিত্য সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ।